পাবিপ্রবি প্রতিনিধি : জুলাই বিপ্লবের ৪ আগস্ট ছাত্রজনতার উপর গুলি করার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) স্টোর শাখার প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম রফিককে বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বেলা বারোটার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও বক্তব্য থেকে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট পাবনা শহরে ছাত্রজনতার উপর গুলি বর্ষণ করেন পাবনা ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। যেখানে সাবেক এমপি প্রিন্সের পাশে তার সহকারী হিসেবে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিক এবং বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ হোসেন রাসেল উপস্থিত ছিলেন। সেই গুলি করার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশেত হলে দেখা যায়, গুলি করার সময় গোলাম ফারুক প্রিন্সের পিছনে পিছনে পাবিপ্রবিব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ আহমেদ রাসেল দৌড়াচ্ছে। ৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ নেতা বিশ^বিদ্যালয়ে প্রবেশ না করলেও কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম একটি দপ্তরের প্রধান হিসেবে স্বপদে বহল থেকে প্রতিনিয়ত বিশ^বিদ্যালয়ের আসছে। যা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের একই সাথে সংশয়ের। তারা কাদের শেল্টারে এখনো ক্যাম্পাসে মুক্ত ভাবে চলাফেরা করে আমরা বর্তমান প্রশাসনের কাছে এর জবাব চান শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে বিশ^বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করাসহ তার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানান তারা। এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন, জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার একটি ভিডিও ফুটেজে বিশ^বিদ্যালয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে দেখা যায়। এই কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা ওই কর্মকর্তারা বিচারের দাবিতে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে যান। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুল আওয়াল শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা লিখিত অভিযোগ দাও সাথে প্রমানগুলো সংযুক্ত করে দাও। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো। জুলাই আগস্টে শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য। এবিষয়ে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার ওই দিন আমি অফিস করে শহরের দিকে যাই। তবে ঐ ভিডিও বা ছবির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। আমি বিশ^বিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন মেনে চাকরি করি এখানে আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা।
সর্বশেষ
- তাল পাড়ায় শিশুকে অমানবিক নির্যাতন
- জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির ৯ম সভা অনুষ্ঠিত
- পাবিপ্রবিতে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
- স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে পাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- ফরিদপুরে তিনদিনের ভূমি মেলা সম্পন্ন
- তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায়
- চাঞ্চল্যকর পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত কনস্টেবল হত্যার ক্লুলেস মামলার প্রধান আসামি নুর ইসলাম গ্রেফতার
- ১০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার