এনএনবি : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ৪৭ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এ বিষয়ে গঠিত কমিশন। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত চাকরিবিধির ধারা বাতিল, কমিশনের মেয়াদ কমিয়ে চার বছর, নিজস্ব প্রসিকিউশন ইউনিট গঠন ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজস্ব লোকবল পদায়ন।
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনে সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় আঙ্গিকে ১১ দফা ও দুদক সংস্কারে ৩৬ দফাসহ সর্বমোট ৪৭ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করেছে কমিশন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করারও সুপারিশ করা হয়েছে। দুদক সংস্কার কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
দুদককে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবনার লক্ষ্যে গত বছরের ৩ অক্টোবর আট সদস্যের দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রধান করা হয় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে।
এতদিন সাবেক ও বর্তমান দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক এবং বিভিন্ন অংশীদারের পরামর্শ নিয়েছে সংস্কার কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করে কমিশন।
কী আছে বিতর্কিত ৫৪ এর ২ ধারায়
দুদকের বিধিমালার ৫৪ (২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শাইয়া কোনো কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিশ প্রদান করিয়া অথবা ৯০ দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করিয়া তাহাকে চাকরি হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।’
২০২২ সালে এই ধারার মাধ্যমে অপসারণ করা হয় দুদকের আলোচিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনকে। সে সময় এই ধারা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ চেয়ে দাবি জানায় দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউএসএ)।
২০০৪ সালে দুদক গঠনের পর এই আইনে কাটা পড়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। যারা দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।
আরও যে সুপারিশ করেছে কমিশন
সচিব পদ থেকে নিচের দিকের পদগুলোতে নিয়োগ পদায়নে দুদক আইনের বড় পরিবর্তন আনার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। যার মধ্যে সচিব নিয়োগ, মহাপরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা থেকে ৬০ শতাংশ করা, পরিচালক পদে কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা ৭৫ শতাংশ করা। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের যে পূর্বানুমতির বিধান করা হয়েছিল সেটি পুরোপুরি বিলুপ্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
দুদক কমিশনের কাজের পরিধি বাড়াতে ৩৬ জেলা কার্যালয়ের পরিবর্তে প্রতিটি জেলায় দুদকের কার্যালয় চালু করতে হবে। এখন যে জেলা কার্যালয়গুলো আছে সেগুলোতে বিশেষ জজ আদালত স্থাপন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব জেলায় বিস্তারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দুদক আইনে, স্বাধীন প্রসিকিউশনের কথা বলা হয়েছে। তবে নানা সীমাবদ্ধতায় সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দুই দশকে প্রসিকিউশনই গঠন করতে পারেনি।
সংস্কার কমিশন একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে, এতে ১০ থেকে ২০ শতাংশ নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে প্রসিকিউশনের যাত্রা শুরু করবে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়িয়ে নিজস্ব প্রসিকিউশন টিম গঠন করা হবে।
কমিশনের সদস্য বৃদ্ধি
দুদককে ‘সাংবিধানিক’ প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও তিন সদস্যের পরিবর্তে ‘পরিসর’ বাড়িয়ে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাঁচ সদস্যের কমিশনে একজন নারী সদস্য যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি দুদকের কাজের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে, বিচারিক ও আর্থিক খাতের মতো অভিজ্ঞদের যুক্ত করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ থেকে কমিয়ে চার বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সর্বশেষ
- তাল পাড়ায় শিশুকে অমানবিক নির্যাতন
- জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির ৯ম সভা অনুষ্ঠিত
- পাবিপ্রবিতে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন
- স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে পাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- ফরিদপুরে তিনদিনের ভূমি মেলা সম্পন্ন
- তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাঁথিয়ায়
- চাঞ্চল্যকর পুলিশের চেকপোস্টে কর্তব্যরত কনস্টেবল হত্যার ক্লুলেস মামলার প্রধান আসামি নুর ইসলাম গ্রেফতার
- ১০ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার