এনএনবি : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমরা সবাইকে নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব। নিজে ভেজাল খাব না, অন্যকেও খেতে দেব না।
অনেকে আছে, না বুঝে অনিরাপদ খাদ্য খাচ্ছে। অনেকে জ্ঞান ও সাহসের অভাবে চুপ করে থাকেন। এ সব জায়গায় প্রতিবাদ করতে হবে। নিজে ঠিক থাকতে হবে, পরিবার-সমাজকেও ঠিক রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এ সময় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যেকোনো ধরনের অভিযোগ ও পরামর্শর জন্য টোল ফ্রি কল সেন্টার (১৬১৫৫ নাম্বার) এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্ন্তজার্তিক নিরাপদ খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও সাবেক কোডেক্স চেয়ারম্যান সনজয় দাভে। স্বাগত বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সভা সেমিনার কিংবা মুখে বলে নয় নিরাপদ খাদ্য বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা, কৃষিসহ সব কিছুর পাশাপাশি খাদ্যে স্মার্ট হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আগে মঙ্গা ছিল। এখন মানুষ না খেয়ে থাকে না। দুর্ভিক্ষ হবে না। আমরা স্মার্ট নাগরিক গঠন করে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবো। এ হোক আজকের অঙ্গীকার। ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি’এ প্রতিপাদ্য বিষয়টা সময়োপযোগী। এটাকে সামনে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
সভাপতির বক্ততৃায় আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, পুষ্টিসম্পন্ন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম বিশেষ অঙ্গীকার। এ প্রেক্ষাপটে জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষে খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্য শৃঙ্খলের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষোর্থে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়।
এ আইনটি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষে ২ ফেব্রুয়ারি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। দিবসটি স্মরণে প্রতিবছরের মতো জনগণকে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন করার জন্য সারাদেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় উত্তীর্ণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজন সুস্থ ও কর্মক্ষম জাতি। এই রপকল্প বাস্তবায়ন হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে।
সর্বশেষ
- ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪ বছর পূর্তি আজ
- আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বেড়ায়
- ঈশ^রদীতে মেয়াদোত্তীর্ণ চা পাতা সংরক্ষণ করায় শাওন কোম্পানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
- নারী বিষয়ক সংষ্কার কমিশনের ৬ দফা প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ
- দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন না : জামায়াত আমির
- বিচার বিভাগের আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপিত
- স্কয়ারে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত