এনএনবি : রংপুর ও গাইবান্ধার নির্বাচনের উদাহরণ টেনে বিরোধীদলগুলোকে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারাণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “রংপুর সিটি করপোরেশনে শোচনীয়ভাবে হেরেছি, গতকাল গাইবান্ধা নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারেনি।
“আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে, সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। সরকারের পরিবর্তন যদি কেউ চান, নির্বাচনে আসুন। জনগণ চাইলে সরকারে আছি, না চাইলে চলে যাব।”
সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির ৩০তম সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেতুমন্ত্রী। বিএনপির আন্দোলনের ‘হাঁক ডাকে’ কিছুই হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, “১০ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর যে হাঁক ডাক দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ঘোড়ায় ডিম পাড়ল। এই সব হাঁক ডাকে ঘোড়াও হাসে।
“অনেকে বলেছিল, দেশ সংঘাতের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হল না। সরকার পতন হবে, শেখ হাসিনা এগুলো ভয় পায় না। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া শেখ হাসিনা কাউকে ভয় পায় না।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের রায়ে ডেড ইস্যু। এটা আর জীবিত নয়। ডেড ইস্যু নিয়ে নতুন করে হাঁক ডাক গণতন্ত্র সমর্থন করে না, দেশের জনগণ সমর্থন করে না।
“আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল, যে দলের ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে, দেশে গণতন্ত্র বিকশিত করে। গণতন্ত্র এই দেশে স্বৈরশাসকদের হাতে পিষ্ট হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।”
বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদল শক্তিশালী হলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে। কিন্তু বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা, বিরোধিতার কারণে জ্বালাও পোড়াও, আগুন সন্ত্রাস, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডৃ সেখানে গণতন্ত্রের ভাষা স্তব্ধ হয়ে যায়। বিরোধীদলকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে স্বগত জানাই।”
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রয়োজন ছাড়া যেসব সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে ভ্রমণ করতে যায়, এটা সরকারকে ভাবায়।
“সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো একটা কারণ দেখিয়ে বিদেশে যেতেই হবে। এই বিদেশ ভ্রমন কেন? অনেকে চিকিৎসার জন্য কথা বলে যায়, কেউ কেউ হয়ত আসলেই চিকিৎসা করাতে যায়। সব বিষয়য়ে বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।”
অর্থবিত্তের প্রতি রাজনীতিবিদদের ‘মোহের’ সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা রাজনীতি করি, কিছু মানুষ টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। তাদের আরও টাকা দরকার, আরও সম্পদ দরকার।
“কেউ কেউ কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের আমরা ঘৃণা করি। এই দেশ আরও উন্নত হবে যদি সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, চুরি, পাচার বন্ধ করতে পারি। ভালো কাজের জন্য প্রশংসা পাবে, আবার খারাপ কাজের জন্য শাস্তি পেতে হবে।”
দেশের প্রকৌশলীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “দেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। আমাদের রেমিটেন্স বাড়তে শুরু করেছে। এখানে অনেক ভালো মানুষ আছে, যারা ফাঁকি দিচ্ছেন তারা দেশকে ফাঁকি দিচ্ছেন, নিজেকে ফাঁকি দিচ্ছেন।
“যে অপকর্ম করবে, ফাঁকি দেবে, মানসম্মত কাজ করবে না, তার এই জীবন ব্যর্থ জীবন। যা চির জীবন থেকে যাবে। এর ভাগ পরিবারকেও বহন করতে হবে। ছেলেমেয়েদেরও ভালো খারাপ দুটো কাজরই ভাগ নিতে হবে। কত টাকা দরকার একজন মানুষকে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে? আমাদের বিবেককে জিজ্ঞাসা করার সময় এসেছে।”
নিরাপদ সড়কের আইনের বিধিমালার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “অনেক দিন আগে সড়ক পরিবহন বিলটি, নিরাপদ সড়ক পরিবহনের এই বিলটি সংসদে পাস হয়েছে। বিধি প্রণীত না হওয়ায় এ আইনটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়ে যায়। আজকে নতুন বছরের প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা প্রকাশিত হয়েছে এবং বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি সৈয়দ মঈনুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার চক্রবর্তী ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইশহাক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ
- ঐতিহ্যবাহী পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪ বছর পূর্তি আজ
- আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত বেড়ায়
- ঈশ^রদীতে মেয়াদোত্তীর্ণ চা পাতা সংরক্ষণ করায় শাওন কোম্পানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
- নারী বিষয়ক সংষ্কার কমিশনের ৬ দফা প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ
- দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন না : জামায়াত আমির
- বিচার বিভাগের আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদ্যাপিত
- স্কয়ারে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস পালিত